https://mymorning007.blogspot.com/title শুভ সকাল: ডেঙ্গু জ্বর: কিভাবে নিজেকে সুরক্ষিত রাখবেন,সম্পুর্ন গাইডলাইন

ad

ডেঙ্গু জ্বর: কিভাবে নিজেকে সুরক্ষিত রাখবেন,সম্পুর্ন গাইডলাইন



 ডেঙ্গু একটি মশাবাহিত ভাইরাসজনিত রোগ, যা প্রধানত এডিস ইজিপ্টি মশার মাধ্যমে ছড়ায়। এই মশা সাধারণত দিনের বেলা, বিশেষ করে সকাল ও সন্ধ্যায় কামড়ায় এবং স্বচ্ছ পানিতে ডিম পাড়ে। ডেঙ্গু ভাইরাসের চারটি সেরোটাইপ (DEN-1, DEN-2, DEN-3, DEN-4) রয়েছে, যার মধ্যে DEN-2 সবচেয়ে বিপজ্জনক। ডেঙ্গু জ্বরকে "ব্রেকবোন ফিভার"ও বলা হয়, কারণ এটি প্রচণ্ড হাড় ও পেশিতে ব্যথা সৃষ্টি করে।

ডেঙ্গু জ্বরের প্রধান লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে ১০৪°F পর্যন্ত উচ্চ জ্বর, মাথাব্যথা, চোখের পিছনে ব্যথা, ত্বকে লাল র্যাশ এবং বমি বমি ভাব। কিছু ক্ষেত্রে রক্তপাত (মাড়ি বা নাক দিয়ে) ও প্লাটিলেট কাউন্ট কমে যেতে পারে, যা ডেঙ্গু হেমোরেজিক ফিভার (DHF) বা ডেঙ্গু শক সিনড্রোম (DSS)-এ রূপ নিতে পারে। সাধারণত ডেঙ্গু জ্বর ৫-৭ দিন স্থায়ী হয়, তবে দুর্বলতা কয়েক সপ্তাহ থাকতে পারে।

ডেঙ্গু প্রতিরোধে মশার বংশবিস্তার রোধ করা জরুরি। বাড়ির আশেপাশে পানি জমতে না দেওয়া, মশারি ব্যবহার করা এবং মশা নিরোধক ক্রিম বা স্প্রে ব্যবহার করা উচিত। ডেঙ্গু জ্বর হলে প্যারাসিটামল ছাড়া অন্য ব্যথানাশক ওষুধ এড়িয়ে চলতে হবে এবং প্রচুর তরল (ডাবের পানি, ওরস্যালাইন, পেঁপে পাতার রস) খেতে হবে। প্লাটিলেট কাউন্ট ২০,০০০ এর নিচে নামলে হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজন হতে পারে। সঠিক চিকিৎসা ও সচেতনতাই ডেঙ্গু থেকে রক্ষা পেতে সাহায্য করে।

ডেঙ্গু কি ?

👉ডেঙ্গু একটি ভাইরাসজনিত রোগ, যা এডিস ইজিপ্টি মশার কামড়ে ছড়ায়।

👉এটি ডেঙ্গু ভাইরাস (DENV) দ্বারা হয়, যা Flavivirid পরিবারের অন্তর্গত।

ডেঙ্গু মশা চেনার উপায় ?

💥এডিস মশা সাদা-কালো ডোরাকাটা দাগযুক্ত (যেমন: টাইগার মশা)।

💥সাধারণত দিনের বেলা (সকাল ও সন্ধ্যায়) কামড়ায়।

💥স্বচ্ছ পানিতে ডিম পাড়ে (যেমন: ফুলের টব, টায়ার, প্লাস্টিকের পাত্র ইত্যাদি)।

ডেঙ্গু কত প্রকার ও কি কি ?

ডেঙ্গু ভাইরাসের ৪টি সেরোটাইপ:

❓ DEN-1

❓ DEN-2 (সবচেয়ে বিপজ্জনক)

❓ DEN-3

❓ DEN-4

ডেঙ্গু মশা কখন কামড়ায় ?

💢সাধারণত সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত সক্রিয় থাকে।

💢ভোর ও সন্ধ্যায় বেশি কামড়ায়।

ডেঙ্গু উৎপত্তির কারণ কি ?

🔓এডিস মশা ডেঙ্গু ভাইরাস বহন করে এবং মানুষের দেহে ছড়ায়।

🔒জলবায়ু পরিবর্তন, বর্ষাকাল ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে মশার বংশবৃদ্ধি বাড়ে।

 


 ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় কি ?

✅মশারি ব্যবহার করুন।

✅ঘরে ও আশেপাশে পানি জমতে না দিন।

✅মশা প্রতিরোধক ক্রিম/স্প্রে ব্যবহার করুন।

✅ফুল হাতা জামা পরুন।

ডেঙ্গু জ্বর কি ?

📌ডেঙ্গু ভাইরাস দ্বারা সংক্রমিত একটি জ্বর, যা তীব্র হতে পারে।

📌এটি "ব্রেকবোন ফিভার" নামেও পরিচিত।

ডেঙ্গু জ্বরে লক্ষণ কি ?

📌তীব্র জ্বর (১০৪°F পর্যন্ত)

📌মাথাব্যথা, চোখে ব্যথা

📌পেশি ও হাড়ে ব্যথা

📌ত্বকে র্যাশ (লাল দাগ)

📌বমি বা বমি বমি ভাব

📌রক্তপাত (মাড়ি/নাক দিয়ে)

ডেঙ্গু জ্বরে করণীয় কি ?

🔍প্রচুর তরল (পানি, ওরস্যালাইন, ডাবের পানি) খান।

🔍প্যারাসিটামল ছাড়া অন্য ব্যথানাশক (অ্যাসপিরিন, আইবুপ্রোফেন) এড়িয়ে চলুন।

🔍বিশ্রাম নিন ও ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

ডেঙ্গু জ্বর কতদিন থাকে ?

🔑সাধারণত ৫-৭ দিন স্থায়ী হয়।

🔑কখনও কখনও ২ সপ্তাহ পর্যন্ত দুর্বলতা থাকতে পারে।

ডেঙ্গু জ্বরে কি খেতে হবে ?

🍑পানি, ডাবের পানি, ওরস্যালাইন

🍒পেঁপে পাতার রস (প্লাটিলেট বাড়ায়)

🍋হলুদ দুধ, মাছ-মাংসের স্যুপ

☕ফল (কমলা, মাল্টা, আনারস)


ডেঙ্গু জ্বরে প্রতিকার

🍌তরল খাবার বাড়িয়ে দিন।

📌প্লাটিলেট কাউন্ট মনিটর করুন।

🌙হাসপাতালে ভর্তি হতে হতে পারে (যদি প্লাটিলেট ২০,০০০ এর নিচে নামে)।

প্লাটিলেট কি ?

✔রক্তের একটি উপাদান যা রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে।

✔স্বাভাবিক মাত্রা: ১.৫ লক্ষ থেকে ৪.৫ লক্ষ/μL

ডেঙ্গু হলে প্লাটিলেট কমে যায় কেন ?

🔑ডেঙ্গু ভাইরাস অস্থিমজ্জাকে আক্রমণ করে, ফলে প্লাটিলেট উৎপাদন কমে যায়।

🔑ভাইরাস প্লাটিলেট ধ্বংস করে।

কি খেলে প্লাটিলেট বাড়ে ?

🌳পেঁপে পাতার রস

🍈কুমড়ার বীজ, ডালিম

🍏ভিটামিন সি (আমলকী, লেবু)

🌿আয়রনযুক্ত খাবার (পালং শাক, মাংস)

প্লাটিলেট কত হলে স্বাভাবিক ?

👉স্বাভাবিক মাত্রা: ১.৫ লক্ষ – ৪.৫ লক্ষ/μL

👉ঝুঁকিপূর্ণ: ২০,০০০ এর নিচে (রক্তক্ষরণের সম্ভাবনা)।

আপনার জন্য:

               

ডেঙ্গু একটি মারাত্মক মশাবাহিত ভাইরাসজনিত রোগ যা এডিস ইজিপ্টি মশার মাধ্যমে ছড়ায়। এটি প্রধানত গ্রীষ্মমন্ডলীয় ও উপক্রান্তীয় অঞ্চলে দেখা যায়। ডেঙ্গু ভাইরাসের চারটি সেরোটাইপ (DEN-1 থেকে DEN-4) রয়েছে, যার প্রতিটির সংক্রমণই সমানভাবে বিপজ্জনক। এই রোগটি সাধারণত 'ব্রেকবোন ফিভার' নামে পরিচিত কারণ এটি রোগীর হাড় ও পেশীতে তীব্র ব্যথা সৃষ্টি করে।

ডেঙ্গু জ্বরের প্রধান লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে হঠাৎ উচ্চ জ্বর (১০৪°F পর্যন্ত), তীব্র মাথাব্যথা, চোখের পিছনে ব্যথা, পেশী ও গিঁটে ব্যথা, ত্বকে লালচে দাগ এবং বমি বমি ভাব। কিছু গুরুতর ক্ষেত্রে এটি ডেঙ্গু হেমোরেজিক ফিভার বা ডেঙ্গু শক সিনড্রোমে রূপ নিতে পারে, যেখানে রক্তপাত ও অঙ্গ বিকল হওয়ার ঝুঁকি থাকে।

প্রতিরোধের মূল উপায় হলো মশার বংশবিস্তার রোধ করা। বাড়ির আশেপাশে জমে থাকা পানি পরিষ্কার রাখা, মশারি ব্যবহার করা এবং মশা প্রতিরোধক ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরি। আক্রান্ত হলে পর্যাপ্ত তরল গ্রহণ, বিশ্রাম নেওয়া এবং চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চলা প্রয়োজন। সচেতনতা ও সময়মতো চিকিৎসাই এই রোগের ভয়াবহতা থেকে রক্ষা করতে পারে।

 


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

"নগরায়নের নামে কৃষিকে ধ্বংস করছি?"

    নগরায়ন আমাদের জীবনের একটি অপরিহার্য অংশ হয়ে উঠেছে, তবে এর অতিরিক্ত সম্প্রসারণ কৃষি ক্ষেত্রকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। কৃষিজমি ধী...

প্রিয় বিষয়